তখন
রাত দুইটা, হাওড়া গামী পুরুলিয়া এক্সপ্রেসটি সাঁতরাগাছি স্টেশনে থেমেছে। ভারী বৃষ্টির কারনে হাওড়াতে পৌঁছাতে পারবে না। ঘরে যেতে দুই ঘণ্টার পথ, এই গভীর রাতে পৌঁছান অসম্ভব। ট্রেন থেকে নেমে ওভার ব্রিজ উপর উঠলাম। লাইট পোষ্টের আলোতে ঝির ঝির বৃষ্টিতে, এক অপরূপ দৃশ্য ভেসে উঠেছে। কিছু সময় এই দৃশ্য অবলোকন করার পর, হাওড়া যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে ওভার ব্রিজ থেকে নীচে নেমে সামনের দিকে চলতে লাগলাম, পথের মাঝে তিনটি বড় ব্যাগ নিয়ে, বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা এক ভদ্র মহিলার কণ্ঠস্বর, ভাই একটু সাহায্য করবেন ? আমি বললাম বলুন, কি করতে পারি, তিনি বললেন আমার ব্যাগ গুলিকে নিয়ে, ট্রাক্সি স্টান্ডে পৌঁছে দেবে ? আমি বললাম দিন, ব্যাগ গুলি খুবই ভারী ঠিকমত সেগুলি নিয়ে স্টান্ডে পৌঁছে দিলাম। তারপর বাসে চড়লাম রাত গভীর হওয়ার কারনে বাস ভাড়া কুড়ি টাকার পরিবর্তে পঞ্চাশ দিতে হবে, খুচরো না থাকার কারনে একটি পাঁচশো টাকার নোট দিলাম, বাস কন্টাকটর আমাকে একটি পঞ্চাশ টাকা আর পাঁচটি একশো টাকার নোট অর্থাৎ সাঁড়ে পাঁচশো টাকা দিলেন। আমি গণনা করার পর, বেশি একশো টাকাটি তাকে ফেরত দেওয়াতে সে খুশি হল। হাওড়াতে পৌঁছালাম তখনো রাতের অন্ধকার, কিছু সময় অপেক্ষার পর সকাল হওয়াতেই বারাসাত গামী বাস ধরে বাড়িতে পৌঁছালাম, তখন সবে মাত্র পরিবারের লোক ঘুম থেকে উঠে আমাকে দেখে সবাই খুশি হল।
Share this
EmoticonEmoticon